এবার সাবেক বিমান প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীর সম্পদ ৬০ গুণ বেড়েছে গত ১০ বছরে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি এলাকায় উন্নয়ন না করে দেশে-বিদেশে একাধিক বাড়ি-গাড়ি করেছেন। তাকে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
জানা গেছে, মাহবুব আলী ২০১৪ ও ২০১৮ সালে দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে পান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব। স্থানীয়রা বলছেন, সংসদ সদস্য বা প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি এলাকার কোনো উন্নয়ন করেননি। তবে দেশে-বিদেশে বাড়ি-গাড়ি করেছেন। কোনো আয়ের খাত না থাকলেও স্ত্রী-সন্তানের নামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ সম্পত্তি।
এদিকে স্থানীয় একজন বাসিন্দা বলেন, ‘ওনার তেমন টাকা পয়সা ছিল না। উনি দেশে বিদেশে বাড়িঘর করেছেন। কিন্তু এ এলাকার মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। উনি যে সম্পদগুলো করেছেন, আমাদের এই এলাকায় করেন নাই। সব করেছেন দেশের বাহিরে। অস্ট্রেলিয়ায় সম্পদের পাহাড় করেছেন।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনে তিনি যে হলফনামা দিয়েছিলেন তাতে দেখা যায়, গত ১০ বছরে মাহবুব আলীর সম্পদ বেড়েছে ৬০ গুণ। সবশেষ নির্বাচনি হলফনামায় মাহবুব আলীর মোট বার্ষিক আয় দেখানো হয় ৩৬ লাখ ১৮ হাজার টাকা। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। আর নির্ভরশীলদের নামে ব্যাংকে দেখানো হয়েছে ১ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
গত রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) যাত্রাবাড়ি থানার একটি হত্যা মামলায় রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে গ্রেপ্তার হন সাবেক বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী। সোমবার তাকে আদালতে তোলা হলে, কারাকারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।